বীরঙ্গনা রমা চৌধুরী আর নেই

রীরঙ্গনা রমা চৌধুরী আর নেই

১৯৭১সালের ১৩ মে সকাল বেলা পোপাদিয়া পৈতৃক ভিটায় অবস্থান করছিল রমা চৌধুরী,হঠাৎ তার ঘরে হানা দিল হানাদার  বাহিনী টেনে হিছড়ে পাশে নির্জন ঘরে নিয়ে চালায় পাশবিক নির্যাতন সম্ভ্রম হারায় পার্শ্ববর্তী পুকুরে ঝাপিয়ে পড়ে জীবন রক্ষা করে, তখনক্ষণে পাক হানাদার বাহিনী গান পাউডার ছিটিয়ে ঘরে আগুন দিয়ে মাথায় গুছার শেষ সম্ভল শেষ করে দিল।
রাগে ক্ষুবে অপমানে আত্নহত্যা করতে চেয়ে ছিল কিন্তু সন্তানদের মুখের দিকে চেয়ে তা করতে পারেনি।
দেশ স্বাধীন হল ১৬ ডিসেম্বর ২০ ডিসেম্বর বড় ছেলে শ্বাস কষ্টে ১৯৭২ সালে ছোট ছেলে গলায় ঔষুধ আটকে মৃত্যুর খুলে ঢলে পড়ে।
হিন্দুরীতিতে দেহ দাহ না করে ছেলেদের  মাটি ছাপা দেয় পরবর্তী তিনি খালি পায়ে চলাফেরা করে আত্নীয় স্বজনের অনুরোধে নতুন করে ঘর বাধে সবার পিড়াপীড়িতে মাঝেমধ্যে স্যান্ডেল পা য়ে দিতে শুরু করে ১৯৯৮ সালে তৃতীয় সন্তান সড়ক দূর্ঘটনায় প্রান হারালে সেই থেকে তিনি আর স্যান্ডেল পায়ে দেয়নি খালি পায়ে চলাফেরা করে।
রমা চৌধুরী ১৯৪১ সালে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার পোপাদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বলা হয়ে থাকে তিনি দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রথম নারী স্নাতকোত্তর (এমএ) নারী। তিনি ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
বিভিন্ন স্কুল কলেজে শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী তিনি একটি পাক্ষিক পত্রিকায় লিখার বিনিময়ে ৫০কপি পত্রিকা পেতেন ফেরিকরে পত্রিকা বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতেন।
তিনি নিজে বই লিখে প্রকাশ করে ফেরিকরে বিক্রি করতেন তার উল্লেখ্য যোগ্য বই একাত্তের জননী, বিভিন্ন গল্প কবিতা,প্রবদ্ধ সহ তিনি ১৮টি বই লিখেন।
আজ ৩রা সেপ্টেম্বর ২০১৮ এই রীরঙ্গনা সাহিত্যিক লেখক রমা চৌধুরীর সংগ্রামী জীবন অবসান হল।


No comments

Powered by Blogger.