ইত্যাদি অনুষ্টানের হাতধরে আবার অভিনয়ে ফিরলেন এটিএম শামসুজ্জামান।

বিনোদন বাংলা খবরঃ-   অনলাইনে ভাইরাল এটিএম শামসুজ্জানের মৃত্যুর খবর।প্রতিবার তিনি ফিরে আসেন।এইবার যখন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল তিনি নিজেও আশা ছেড়ে দিয়েছেন আর ক্যামরা সামনে দাড়াতে পারবে কি।তিনি চার মাস হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।সেই খানে হানা দিয়েছেন ইত্যাদি খ্যাত বাংলাদেশের জনপ্রিয় উপস্থাপক ব্যতিক্রমী ব্যাক্তি হানিফ সংকেত।


তাকে আবার ক্যামেরার সামনে দাড় করিয়েছেন গত ৪নভেম্বর ঢাকার ফাগুন অডিও ভিশনের নিজস্ব শুটিং লোকেশনে সেই খানে তাদের অভিনয়ের দৃশ্য দারণ করা হয়।সাথে আরেক খ্যাতনামা দেশের বর্ষিয়ান টিভি অভিনেতা মাসুদ আলী।এই দুইজন গুণী অভিনেতা কে দেখা যাবে আগামী ২৯শে নভেম্বর বিটিতে প্রচারিত ইত্যাদি অনুষ্টানে।খবর টি প্রকাশ করে হানিফ সংকেতের ফেইজবুক আইডি থেকে।


উল্লেখ্য টানা চার মাসেরও বেশি সময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান। তিনি সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তাকে নিয়ে ইত্যাদির জন্য একটি নাট্যাংশ নির্মাণ করেন হানিফ সংকেত।


এ প্রসঙ্গে এটিএম শামসুজ্জামান বলেন কথায় আছে, রাখে আল্লাহ মারে কে। যখন অসুস্থ ছিলাম তখন আমার মনে হচ্ছিল আমি কি আর ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে পারবো?আবার কি অভিনয় করতে পারবো?এই সময় ইত্যাদির হানিফ সংকেত আমার কাছে এলেন। বললেন, আপনাকে আমরা নিয়ে যাবো, আপনার একটুও হাঁটতে হবে না। তিনি তার কথা রাখলেন।
শুধু নিয়ে যাওয়াই নয়, চেয়ারে বসিয়ে কয়েকজনকে দিয়ে দোতালায় উঠালেন এবং ক্যামেরার সামনে দাঁড় করালেন। পরম ধৈর্য সহকারে বেশ সময় নিয়ে আমাদের পর্বটি ধারণ করলেন এবং শুটিং শেষে আবার বাসায় পৌঁছে দিলেন। তার আপ্যায়ন, শিল্পীর প্রতি সম্মান সবসময় আমার ভালো লাগে। এবারো তার সেবাযত্ন আমাকে মুগ্ধ করেছে।’


এদিকে আরেক বর্ষীয়ান অভিনেতা মাসুদ আলী খান ৯০ বছরে পা রেখেও ইত্যাদির মাধ্যমে আবার দীর্ঘদিন পর টেলিভিশনে অভিনয়ে ফিরলেন। ইত্যাদিতে অভিনয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন প্রায় ৬ বছর আগে দুর্ঘটনার ফলে আমার শিরদাঁড়ার একটি অংশ ভেঙে যায়। এ কারণে আমার পক্ষে আর অভিনয় করা সম্ভব হতো না। তবে আমি একটা আশা পোষণ করছিলাম যে, এই জীবন সায়াহ্নে এসে ইত্যাদির একটা পর্বে অভিনয় করবোই। তাই এবার এ অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে আপনাদের সামনে আসা।


নন্দিত নির্মাতা হানিফ সংকেত বলেন বর্ষীয়ান এই অভিনয় শিল্পীরা আমাদের জাতীয় সম্পদ। আজকাল মিডিয়াতে দেখা যায় একটু বয়স হলে তার জন্য আর কোন চরিত্র থাকে না। কারণ অধিকাংশ নাটকেই কোন বাবা-মা বা বয়স্ক চরিত্র দেখা যায় না। আর কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার খোঁজ-খবর নেয়া শুধু সেলফিতেই সীমাবদ্ধ থাকে। তবে আমার নাটক বলেন, ইত্যাদি বলেন সব জায়গায়ই এইসব গুণী শিল্পীদের একটা বিশেষ স্থান থাকে। এই দুই গুণী অভিনেতা ইত্যাদির প্রায় নিয়মিত শিল্পী। দীর্ঘদিন দূরে থাকার পর পরিবারের একজন সদস্য ফিরে এলে যেমন আনন্দ হয় ইত্যাদিতে আবার তাদের পেয়ে আমিও তেমনি আনন্দিত। যদিও তাদের এই দূরে থাকাটা ছিলো অসুস্থতার কারণে। তবে তাদের সেই অভিনয় দ্যুতি এখনও আছে। ইত্যাদির প্রতি তাদের এই ভালোবাসার কাছে আমি ঋণী।


গণমানুষের প্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদির এই পর্বটি একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে ২৯ নভেম্বর শুক্রবার রাত ৮ টার বাংলা সংবাদের পর।

No comments

Powered by Blogger.